গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ। যুদ্ধের শুরু থেকেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে তীব্র ও ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
গত ২৩ দিনে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রতিনিয়ত হতাহত হচ্ছে শত শত মানুষ। অঞ্চলটিতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩০৬ জনে। গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর বিবিসি।
নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৭ জনই শিশু আর ২ হাজার ১৩৬ জন নারী। এ ছাড়া বয়োবৃদ্ধ রয়েছেন ৪৮০ জন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ১১৯ জন ফিলিস্তিনি।
এ ছাড়া ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় নিখোঁজ রয়েছেন ১ হাজার ৯৫০ জনের মতো ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৫০ জনই শিশু। ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তি ও শিশুদের বেশির ভাগই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে।
ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপকতার ও উদ্ধার সরঞ্জাম স্বল্পতার কারণে মরদেহের চেয়ে আহতদের উদ্ধারে জোর দিচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে গাজার হাসপাতালগুলো বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহের ঘাটতির কারণে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।
অবরুদ্ধ গাজা অঞ্চলটিতে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র, বেকারি, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট, পাম্পিং স্টেশন এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন এমন জ্বালানির কোনো চালানও নেই। এতে করে ভয়াবহ মানবিক সংকটে অঞ্চলটির বাসিন্দারা।